No way home Review
[ SPOILER_ALERT ]
{tocify} $title={Table of Contents}
[1] এন্ট্রি সিনঃ- প্রথমত, টবি আর এন্ড্রো গার্ফিল্ডের এন্ট্রি খুব’ই নরমালাইজড করা হয়েছে। তাদের এন্ট্রি এপিক করা যেতো। যেমন, Infinity war – এ হঠাৎ থরের এন্ট্রি বা End Game এ ক্যাপ্টেন মারভেলের এন্ট্রির মত। এর জন্য দরকার ছিলো ব্রিজের ফাইটে টম হল্যান্ড ডঃ অক্টোপাস + গ্রীন গবলিনের তুমুল ফাইট হওয়া। যেখানে টম হেরে যায় যায় অবস্থা হবে আর হঠাৎ টবি আর এন্ড্রো সেখানে এন্ট্রি নিবে।
[এই এন্ট্রি জাস্টিফায়েডও হতো। কারন তারা এই ইউনিভার্সে টেলিপোর্ট হয়েছিলো ভিলেনদের সাথে একই সময়ে] লিজার্ড, এলেক্ট্রোর এন্ট্রিও খুব সাধারন।
[২] হঠাৎ টেলিপোর্ট হওয়ার ফলে ভিলেনদের যে মানসিক অবস্থার অবন্নতি হয়ে শহরে বড় ধরনের ধ্বংস-লীলা চালানোর কথা সেটা হয়নি। উল্টো তারা টমের সাথে ফ্রেন্ডলি হয়ে তার অফারে রাজি হওয়া’টা এক্সাইটমেন্ট নষ্ট করে দিয়েছে। এমন মারাত্মক ভিলেনদের এভাবে শান্ত হওয়া’টা বেমানান লেগেছে।
[৩] ইলেক্ট্রোর মাথায় চুল নেই, দাড়ি নেই। কিন্তু NWH এ টেলিপোর্ট হওয়ার ফলে তার মাথা ভর্তি চুল আর দাড়ি কিভাবে আসলো এটা মাথায় ডুকেনি।
[পাওয়ারের কালার & রেঞ্জ পরিবর্তন হয়েছে, Ok । কিন্তু এটার সাথে মাথার চুলের কি সম্পর্ক! ]
[৪] টবি মেকগ্রোয়ারের স্পাইডার-ম্যান একজন সাধারণ পরিবারে তরুন। যে পার্ট-টাইম ফটো সাংবাদিক ও পিজ্জা ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করে। সে কিভাবে (NWH) এ ভিলেনদের ভ্যাক্সিনের ফর্মূলা নিয়ে কাজ করে…! তার কোনো ল্যাব এক্সপেরিয়েন্স নেই। শুধুমাত্র বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী।
[কমিক্সে আছে ,কিন্তু টবির ফিল্মগুলোতে নেই] এভাবে ভাবলে এটাকে টবির চরিত্রে নতুন যুক্ত করা বৈশিষ্ট বলা যায়, যা তার চরিত্রে আগে দেখা যায় নি]
কিন্তু হঠাৎ করে এসেই প্রথম ল্যাব এক্সপেরিয়েন্সে ভ্যাক্সিনের মত জটিল প্রক্রিয়া নিয়ে সফল কাজ করা দৃষ্টিকটু। এটা শুধুমাত্র, বিজ্ঞানে এক্সপার্ট কোনো সাইন্টিস্ট’ই করতে পারে (সারাদিন ল্যাবে পড়ে থাকে টাইপ কেউ) । হঠাৎ আসা কেউ এতো সহজে পারবে না । সে যতই জ্ঞানী হোক। আর কিউড়ের ফর্মূলা সম্পর্কে তার জানারও কথা না।
[৫] আন্ট মে এর মৃত্যু’টা ওয়েস্টেড। তাকে মারতে হলে “গুড কজ”- এর জন্য মারা যেতো।
কিভাবে…(?) বলছি শেষে। [গল্প সংশোধন অংশে]
[৬] শেষ ফাইট হয় স্ট্যাচু অব লিভার্টি’তে। শহরের ক্ষয়ক্ষতির জন্য এমনিতেই তার উপর সবাই ক্ষ্যাপা। সে কেনো জেনেশুনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভিলেনদের ডাকবে ফাইটের জন্য…? এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত মানুষ এমন একটি স্থান বেছে নিবে যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হবে না।
[৭] ভিলেনদের কিউর করে তাদের ইউনিভার্সে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে স্পাইডার-ম্যান’রা। এতে কোনো লাভ আছে? তারা অতীত থেকে এসেছে আর এখন ভবিষ্যত। তাদের কিউর করলে কি তাদের কারনে যারা ওই সব ইউনিভার্সে মারা গেলো, তারা ফিরে আসবে? নাহ।
উল্টো রিয়্যালিটি ব্রেক হবে। প্যারালাল টাইম-লাইন ক্রিয়েট হবে। তারা মূল চরিত্রগুলোর ভ্যারিয়ান্টে পরিনত হবে। আর আগের ইউনিভার্স যেমন ছিলো তেমন’ই থাকবে।
[He was right in his way but this will not work in old unverses. This will just make another reality, which is parallel reality & a new timeline]
[৮] হ্যাপি কিভাবে আন্ট মে’কে জানে…? সে স্পাইডার-ম্যানের মাধ্যমে জানে। স্পেলের সূত্র অনূযায়ী কেউ আর টম’এর স্পাইডার-ম্যানের অতীত মনে রাখবে না। তাহলে তার কিভাবে মনে আছে…(?)
__আর সে যখন আন্ট মে’কে প্রথম দেখে তখন টম স্পাইডার-ম্যানের স্যুটে ছিলো না। পিটার পার্কার হয়ে সাধারণ রূপে তার সামনে থাকে। তাহলে সে আন্ট মে’কে মনে রাখতে পারলে মে এর যে একটি নেফিও (পিটার)- ছিলো সেটা কিভাবে ভুলে গেলো! আর সাক্ষাতের সে সময়’টা না ভুললে সে পিটারকে কেন চিনবে না?
মূল কথা, এই সীন’টা কোনো পক্ষের যুক্তিতে মিলে না।
[৯] ভেনম এন্ট্রি টাইম-লাইনঃ-
NWH এ দেখানো হয় টমের পরিচয় রিভিল হয়ে যায়, ব্রিকিং নিউজ চলে। কিছুদিন পার হয়ে যায়। তারপর ডাঃ স্ট্রেঞ্জের কাছে সে যায় আর এই ঘটনা ঘটে। সবাই টেলিপোর্ট হয়ে এই ইউনিভার্সে আসে। মানে প্রথম ব্রিকিং নিউজের কিছুদিন পর।
___কিন্তু ভেনমঃ-২ এর পোষ্ট ক্রেডিটে দেখানো হয় যে ভেনম আর এডি টেলিপোর্ট হয়ে প্রথম ব্রিকিং নিউজটি লাইভ দেখছে। কিভাবে!!!! টেলিপোর্ট কয়েকদিন পর হয়।
রিভার্স স্পেলের ফলে সবাই যার যার ইউনিভার্সে ফিরে যায় কিন্তু ভেনমের একটা অংশ থেকে যায়। যা স্পেলের সূত্র অনুযায়ী সম্ভব নয়। শুধুমাত্র MCU তে একটি ভেনম সেট-আপ করার জন্য এমন করা হয়েছে।
[১০] সবচেয়ে বড় কথা,
স্পেলে স্পাইডার-ম্যানকে ভুলানোর চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হতো, যদি মিস্টেরিওর বলা সব কথা + তার অস্তিত্ব সবাইকে ভুলিয়ে দেয়া হত। তাহলে আর ঝামেলাই হতো না। না মিস্টেরিও নামের কেউ আছে, নাহ পিটারের পরিচয় রিভিল হবে।[THE END]
No [SPIDER-MAN : NO WAY HOME] Film.
[গল্প সংশোধন]-
ধরুন গল্প সেভাবেই যায়, যেভাবে শুরু।
মাল্টিভার্স হল। ভিলেন’রা আসলো। ডঃ স্ট্রেঞ্জ এটার সমাধানের সুত্র খুজতে ব্যস্ত। শহরে সব ভিলেন একসাথে হয়ে ধ্বংস-যজ্ঞ চালাচ্ছে। টম ফাইট করতে গেলো একা। টম একা পেরে উঠছে না। হেরে যায় যায় অবস্থা। এর মাঝে বাকি দুই স্পাইডার-ম্যানদের এন্ট্রি। ভিলেনরা পালালো। স্পাইডারম্যান’রা পরিচিত হলো। ডঃ স্ট্রেঞ্জের কাছে গেলো তারা।
ডঃ বললো, ভিলেনদের থামাও, আমি সমাধানের উপায় পেয়েছি। তখন দুই স্পাইডার-ম্যান চলে গেলো ভিলেনদের খুজতে (টবি & এন্ড্রো)। টম আর ডঃ স্টেঞ্জ স্পেল কাস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে ভিলেন’রা স্টেঞ্জের উপর হামলা করলো বক্সের জন্য। ফাইট হয়। স্ট্রেঞ্জ বন্ধী হয়। কিন্তু বন্ধী হওয়ার আগে সে টম’কে বাক্সটি দিয়ে তাকে পোর্টালের মাধ্যমে টেলিপোর্ট করে দেয়। তারপর ভিলেন’রা টম কে বাধ্য করার জন্য আন্ট মে’কে কিডনাপ করে। স্ট্যাচু অব লিভার্টিতে নিয়ে গেলো তাদের দু’জনকে (স্টেঞ্জ & মে)।
_টিভি’তে তারা ঘোষনা দিলো স্পাইডার-ম্যান যেনো সেই বাক্স নিয়ে এখানে আসে, নাহয় মে’কে মেরে ফেলবে। তারা যায়। ফাইট করে। ফাইটের এক পর্যায়ে বাক্স বাচাতে গিয়ে আন্ট মে মারা যায় (good cause)। এদিকে ফাইট হয় আর ডঃ স্ট্রেঞ্জ লম্বা সময়ের প্রসেসে স্পেল কাস্ট করে। হিরো’রা ভিলেনদের পরাজিত করে। আর ডঃ স্পেল কাস্ট সম্পূর্ণ করে। এভাবে ভিলেন’রা নিজ নিজ ইউনিভার্সে ফিরে যায় নিজ নিজ সঠিক টাইম-লাইনে। সাথে বাকি দুই স্পাইডার-ম্যানরাও ফিরে যাবে তাদের টাইম-লাইন অনুযায়ী সময়ে।
[THE END] – তাহলে এক্সাইটিং হত স্ক্রীনপ্লে।
ঝামেলা হতো না ভুলে যাওয়ার সূত্র নিয়ে।