দ্যা ফ্ল্যাশ সিজন ৬ এপিসোড ৫ রিভিউ

The Flash Season 6 Episode 5 Review – দ্যা ফ্ল্যাশ সিজন ৬ এপিসোড ৫ রিভিউ

The Flash Season 6 Episode 5 Review

গত ৬ নভেম্বর এ অ্যারোভার্সের নিয়মিত সিরিজ The Flash এর সিজন ৬ এর পঞ্চম এপিসোড রিলিজ হয়েছে ।

ফ্ল্যাশ সিরিজ রিভিউ
(image Credit: The CW/DC/WB)

The Flash সিজন ৬ এপিসোড ৫ রিভিউ

∑‡ স্পইলার এলার্ট †⁺

The Flash Season 6 Episode 5 Breakdown

★ পুর্ববর্তি এপিসোড দ্যা ফ্ল্যাশ সিজন ৬ এপিসোড ৪ রিভিউ পড়ে নিন।

★ পঞ্চম এপিসোড এর সময়কাল ছিল ৪২ মিনিট। এই এপিসোডটির নাম ছিল Kiss.Kiss.Breach.Breach । সত্যি কথা বলতে কি, এই এপিসোড এর নাম Kiss.Kiss.Breach.Breach না রেখে “faith in you” অথবা “faith in” রাখা উচিত ছিল । কেন ? আপনি এপিসোডটি দেখলেই বুঝতে পারবেন । এটি প্রচারিত হয় The CW নেটওয়ার্ক এ ।

★ এপিসোড এর শুরুতেই পুর্ববর্তি এপিসোড গুলির কিছু দৃশ্য দেখানো হয় । বিশেষ করে ডক্টর র‍্যামসি, ডক্টর ন্যাশ ওয়েলস এবং সিসকো র‍্যামন এর এক্সগার্লফ্রেন্ড সিনথিয়া এর কিছু দৃশ্য দেখানো হয় ।

★ এপিসোড শুরু হয় ব্যারি আর আইরিস এর ভেকেশন বা বেড়াতে যাওয়ার দৃশ্য এর মাধ্যমে। বিশেষ করে সিসকো কে টিম ফ্ল্যাশ এর দায়িত্ব দেওয়া এবং তাদের কে একা রেখে যাওয়া । অন্যদিকে ব্যারি এখানে থাকবে না দেখে সিসকো ব্যারির মত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্নু এক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বানায় যার নাম দেয় “বারি” । এর মাধ্যমে টিম ফ্ল্যাশ সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এমনটাই আশা করছে বাকি সবাই ।

★ এর পরের দৃশ্যে দেখা যায়, জো ওয়েস্ট, হ্যারিসন ন্যাশ ওয়েলস যে টানেলে গিয়েছে সেখানে তার পিছু পিছু যায় । তখন হ্যারিসন বলে আমি তোমাকে আমার পিছু করতে দিয়েছি । তুমি কে ? জো ওয়েস্ট বলে আমি পুলিশ অফিসার । আমি জানতে পারি কি? তুমি এখামে কি করছ? হ্যারিসন বলে একটু কাজ ছিল সেটাই করছি । জো ওয়েস্ট, বলে আমার ছেলে ব্যারি যখন বলল শহরে নতুন হ্যারিসন এসেছে তখন থেকেই তোমার উপর নজরদারি শুরু করি । হ্যারিসন মানেই নতুন নতুন ঝামেলা । এখন বল এখানে খুদছো কেন? হ্যারিসন উত্তর না দিলে । সেখানে জো ওয়েস্ট আর হ্যারিসন এর মাঝে হাতাহাতির এক পর্যায়ে হ্যারিসন এর হাতে থাকা গুলিতে ব্লাস্ট হয় আর তাদের উপর টানেল ভেংগে পড়ে । এতে তাদের বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং আটকা পড়ে যায় ।

★ এর পরে দেখা যায়, সিসকো তার ফ্লাটে ঘুমাতে যাচ্ছে । ক্যামিলা বলছে তোমার রেস্ট দরকার । গত কয়দিনে “বারি” কে তৈরির জন্য একদম ঘুমাতে পারোনি। এই বলে ওরা দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ে । মধ্যরাতে সিসকো এর ঘুম ভেংগে যায় । দেখতে পায় ওর হাতে একটি কেঁচি । এর মাধ্যমে সে তার চুল কাটতে গেছিল । তখন ও বুঝতে পারে ও ঘুমের মধ্যে এইগুলি করছিল । ক্যামিলা বলে গতকালকেও তুমি এইরকম করেছিলে । সিসকো বলে তাহলে তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন? ক্যামিলা বলে ভেবেছিলাম তুমি হয়ত না ঘুমানোর কারনে এইরকম করেছো । ঘুমালেই হয়ত ঠিক হয়ে যাবে । এরপরে ওরা ঘুমাতে গেলে, তাদের রুমে একটি পোর্টাল খুলে যায়। সেখানে ব্রিচার আসে, যে কিনা সিনথীয়া এর বাবা । ব্রিচার এসে তাদের বিছানায় বসে, সিসকো জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে তখন ব্রিচার উত্তর দেয় সিনথিয়া মারা গেছে ।

★ এরপরে স্টার ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে ব্রিচার বলে সিনথিয়া এক শক্তিশালী হ্যাকার কে ট্রাক করছিল । তাকে ধরতে গেলে এই আর্থে নিয়ে আসে । এখানে সিনথিয়া কে মেরে ফেলে ওই হ্যাকার । যে নিজেকে একো (echo) নামে পরিচয় দেয় । ব্রিচার বলে তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে ওই একো কে ধরতে। যেন আমি সিনথিয়া এর হত্যার বিচার করতে পারি? ক্যামিলা উত্তর দেয় হ্যা অবশ্যই সিসকো সাহায্য করবে । ব্রিচার বলে তোমার ভাইভ এর শক্তি নেই তাহলে তুমিকি হ্যালুসিনেশন দেখতে পাচ্ছ না? এটা ব্রিচারদের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেটা তাদের ক্ষমতা চলে গেলে এইরকম হয় । পরে সিসকো ক্যামিলা আর ব্রিচার সিনথিয়া খুন হওয়ার জায়গায় যায় ।

★ অন্যদিকে হ্যারিসন আর জো ওয়েস্ট নিজেদের মধ্যে ঝগড়া চালিয়ে যেতে থাকে । এক পর্যায়ে হ্যারিসন নিজের পকেট থেকে একটি বোমা সদৃশ এক বস্তু ছুড়ে মারে পাথরের দিকে যেদিকে রাস্ত বন্ধ হয়ে রয়েছে । কিন্তু উলটো সেই বিস্ফোরণ তাদের উপর দিয়েই যায় । পরে হ্যারিসন বলে আমরা বড় বিপদে পড়ে গেছি। এই বিস্ফারণ এর কারনে এই বদ্ধ জায়গার প্রায় ৮৭% অক্সিজেন শেয । সবমিলিয়ে আমাদের কাছে মাত্র ৪২ মিনিট সময় আছে । হ্যারিসন এই বল্ব পাথর সরানো শুরু করলেও সেগুলি সড়াতে ব্যার্থ হয় । যে কারনে জো ওয়েস্ট বলে চিন্তা করোনা আমার টিম আছে ওরা আমাদের ঠিক খুঁজে বের করবে। তখন হ্যারিসন বলে আমরা মারা যেতে চলেছি। আর তুমি বলছ চিন্তা না করতে ? তখন জো ওয়েস্ট বলে একদিন তো সবাইকেই মারা যেতে হবে। যেমন ধরো আমার ছেলে ব্যারি। মনিটর নামক এক ব্যাক্তির মতে ক্রাইসিস নামক এক ইভেন্টে তাকে মারা যেতে হবে, পুরো বিশ্বকে বাঁচাতে সে তার জীবন দিবে । তখন হ্যারিসন ন্যাশ ওয়েলস বলে তার মানে তুমি “মার নভু” কে দেখেছো । তখনি রাল্ফ ডিবনি সেখানে চলে আসে, এবং তাদেরকে উদ্ধার করে ।

★ অপরদিকে কিলার ফ্রস্ট এবং তার এক সহযোগীকে দেখা যায় ডক্টর র‍্যামসি এর খোঁজে । সেখানে রাল্ফ ডিবনী উপস্থিত হয়। তখন রাল্ফ বলে যাই করো একা করো না এতে বিপদ বেশি হয় । সবসময় মনে রেখ তোমার সাথে তোমার বন্ধুরা আছে । সবসময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখবে । তখন কিলার ফ্রস্ট বলে আমি মনে হয় জানি র‍্যামসি এখন কোথায় আছে ।

★ ক্যামিলা আর সিসকো একটি বিল্ডিং এ ঢুকে যেখানে সিন্থিয়া এর খুন হয়েছিল । সেখানে গিয়ে দেখতে পায় যে, তার লাশ এর পাশে একটি ক্রিপ্টো ডিভাইস রয়েছে । সিসকো সেটি নিয়ে চলে আসে । তখন সে ব্রিচার কে বলে হয়ত আমি জানি সিনথিয়াকে কে মেরেছে। এর জন্য আমরা হোয়াইট ডিভাইসটি ব্যবহার করব। এর জন্য ব্রিচার এর সাহায্য লাগবে । ওরা হোয়াইট ডিভাইসটি ব্যাবহার করে দেখতে পায় যে সিনথীয়া কে একজন খুন করছে । এবং সেই ব্যাক্তিটি সে নিজেই । ব্রিচার তাকে আক্রমণ করে, সেখানে কিছুক্ষণ হাতাহাতি হয় । পরে সিসকো বলে ভাইব শক্তি চলে যাওয়ার পরে ওই সাইকোটিক কারনে হয়নি তো? তখন ক্যামিলা একটি বন্দুক নিয়ে আসে । যেটা দিয়ে সিন্থিয়া কে খুন করে সিসকো কে । যেটা কিনা সিসকো এর ওয়ার্কশপ এ ছিল।

★ ব্রিচার বলে তমাকে আমি ১ ঘন্টা দিলাম সারেন্ডার হওয়ার জন্য , বলে চলে যায় । ক্যামিলা সিসকো এর সাথে তর্কাতর্কি করে যেন সিসকো এই ঘটনার দায় না নেয়। কারন সে বিশ্বাস করে যে এই ঘটনার জন্য সিসকো কোনভাবেই দায়ি না । তখনি সিসকো বুঝতে পারে যে তার মেশিনে কেউ একজন ঢুকে কোডিং পালটে দিয়েছে । এর পরে বলে আমি জানি কিভাবে সিনথীয়া এর আসল খুনিকে ধরা যাবে ।

★ এর পরে দেখা যায় কেইটলিন তার বন্ধু ডক্টর র‍্যামসি এর পুরাতন ল্যাবে যায় । যেখানে গেলে ডক্টর র‍্যামসি তার সাথে মানুষ হত্যা করে আমরত্ব লাভের কথা বলে। কিন্তু কেইটলিন না করে । যার ফলে ডক্টর র‍্যামসি তার গলা টিপে ধরে। পরে ছেড়ে দেয় এবং বলে এর পরে আর সে তাকে ছাড়বে না । বলে সেখান থেকে চলে যায় ।

★ একটি পোর্টালের মাধ্যমে সিনথিয়া কে যেখানে খুন করা হয়েছিল সেই জায়গায় জায় সিসকো । সেখানে গিয়ে তার ডুপলেংগার এর সাথে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয় । সিসকো জানতে পারে যে এই সেই হ্যাকার যে কিনা একো নামে পরিচিত । পরবর্তিতে তার সাথে সিসকো এর মারামারি হয় । সিসকোর হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে গুলি করতে গেলে তার চারপাশে একটি ফোর্সফিল্ড তৈরি হয় এবং একো ধরা পরে যায় । পরবর্তিতে ব্রিচার এসে সিসকো কে ভুল বুঝার জন্য ক্ষমা চায়। এবং বলে আর্থ-১৯ এ ওই ক্রিমিনাল কে ধোরে রাখা হয়েছে । ব্রিচার তখন সিসকো আর ক্যামিলা কে সিনথীয়া এর অনুষ্ঠান এ আমন্ত্রণ জানায় । এর পরে ব্রিচার সেখান থেকে আর্থ-১৯ এ চলে যায়।

★ এর পরে দেখা যায় যে ব্যারি অ্যালেন এবং আইরিস তাদের ভেকেশন থেকে ফেরত এসেছে । তখন কম্পিউটার এর স্কিনে একটি নোটিফিকেশন আসে, সেখানে চেস্টার এর শরিরে অংশ ৮৭% ঠিক হয়ে গেছে দেখা যায় । ব্যারি এবং আইরিস, সিনথীয়া এর মৃত্যর সমবেদনা জানায় । এর মাধ্যমে ফ্ল্যাশ সিজন ৬ এর এপিসোড ৫ শেষ হয় ।

★ পোস্ট ক্রেডিট সিন এ দেখা যায় যে, স্টার ল্যাবের একটি রুমে হ্যারিসন ন্যাশ ওয়েলস, জো ওয়েস্ট, কিলার ফ্রস্ট এবং রাল্ফ ডিবনি কে দেখা যায় । তখন রাল্ফ এবং জো হ্যারিসন কে জোর করে সে কি কারনে ওই টানেলের মধ্যে গিয়েছিল । তখন হ্যারিসন বলে আগামীকাল সকাল ৯:০০ টায় পুরো টিম নিয়ে ওই টানেলে এসো । তখন রাল্ফ বলে কেন? হ্যারিসন সেই রুম থেকে যেতে যেতে বলে, আমি হয়ত জানি ব্যারি অ্যালেন কে কিভানে বাচানো যাবে ।

★ আগামি ২০ এ নভেম্বর, ৬ নাম্বার এপিসোড প্রচারিত হবে

★ ৩য় এপিসোড দ্যা ফ্ল্যাশ সিজন ৬ এপিসোড ৩ রিভিউ পড়ে নিন।

DMCA Notice:- All OUR Posts Image are Free and Available On INTERNET Posted By Its Rightful Owner or Somebody Else. I’m Not VIOLATING Any COPYRIGHT LAW by Sharing a Movie or Tv Show/Web Series Trailer ScreenShot or Scenes. It's simply Fair Usage of Work. While Writing Movie/Series Breakdown Review.
I am Simply Promoting and Marketing Those Copyrighted Owner Property. But If You think something on this post is VIOLATING the Copyright LAW, Please Notify US via This CONTACT us FORM. So That It Can Be Removed from our Website.

Disclosure: This post May contain affiliate links that support our Blog. When you purchase something after clicking an affiliate link, we may receive a commission. Also Note That We Are Not Responsible For Any Third-party Websites Link Contents. For more Read Our Terms and Conditions Thank You.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Total Views: 101

Scroll to Top