ইটারনালস মুভি রিভিউ – কেন এই সিনেমাটি নিয়ে এতো সমালোচনা

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ২৬তম সিনেমা হিসেবে আবিভূত হচ্ছে ইটার্নালস ।

ইটারনালস মুভি রিভিউ

এটার্নালস কারা? এটার্নালস হলো দূর মহাকাশ থেকে আগত এলিয়েন গোষ্ঠী । যারা পৃথিবীতে এসেছিল প্রায় ৭ হাজার বছর আগে।

কিন্তু যখনই ইটার্নালস দের জাত শত্রু ডেভিয়েন্টস পৃথিবীতে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা Deviants দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে । বলা যায় এই সুপারহিরোদের এই একটাই কাজ।

{tocify} $title={Table of Contents}

পৃথিবীতে এসে মানুষের সাথে মিশে গিয়ে সাধাসিধা জীবন যাপন করে আসছিল। তাদের অসাধারণ ক্ষমতা থাকা সত্তেও ইটারনালসরা কখনো মনুষ্য জাতির কোন বিষয়ে নাক গলায় নি৷

ইটারনালস মুভি রিভিউ
মার্ভেলের ইটার্নালস টিজার ট্রেলার রিভিউ – অরিজিন অব ইটারনালস Movie Name: Eternals 2021 (Image Credit: Marvel Studio/Youtube/Disney)

মার্ভেলের এই অতিমানবের দলে আছে দুনিয়া কাপানো সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা। এঞ্জোলিনা জোলি থেকে সালমা হায়েক তাদের থেকে শুরু করে গেম অফ থোন্স এর জন স্নো খ্যাত অভিনেতা কিট হ্যারিংটন। সাথে আরো আছে কিং অফ দ্যা নর্থ অভিনেতা Richard Madden. আর কি লাগে বলুনতো ।

ইটার্নাল কারা? বিস্তারিত জানুন

মুভি এবং কমিক্সের পাতায় ইটারনালস অরিজিন সম্পুর্ণ আলাদা। তবে দুইটা জিনিস যেটা সেম রেখেছে তা হলো, ডেভিয়ান্টসরা তাদের জাত শত্রু। মার্ভেল কমিক্স অনুযায়ী ইটার্নালরা হল সেলেস্টিয়ালদের তৈরি করা একটা জাতি (জেনে রাখা ভালো যে সেলেস্টিয়ালরা হচ্ছে মহাকাশের গড লাইক বিং)। ট্রেইলার থেকে ধারণা করে বলা যায় যে, সেলেস্টিয়ালরা এই ফিল্মে দেখানো স্পেসিফিক ইটার্নাল সদস্যদের সৃষ্টি করে এবং তাদের কে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়।

পৃথিবীতে তারা মানবজাতির মাঝে নিজেদের জ্ঞান বিতরণ করে । মনুষ্য জাতির সিভিলাইজেশনে ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ইটারনালসরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে মানুষ সেজেই পৃথিবীতে সাত হাজার বছর ধরে বসবাস করতে থাকে।

এটারনালসদের উপর নির্দেশনা দেয়া ছিল যে, যাই হোক না কেন তারা কোনো ভাবেই পৃথিবীর মানুষদের কোন ব্যাপারে নিজেদের জড়াতে পারবে না৷ যদি না তাদের শত্রু ‘ডেভিয়েন্ট’রা যুক্ত থাকে।

এর আগে গার্ডিয়ান্স অফ দ্যা গ্যালাক্সির দুইটা সিনেমায় দুইটা সেলেস্টিয়াল কে দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে স্টার লর্ড বা পিটার কুইলের বাবা একজন Celestials ছিল।

বলে রাখা ভালো বেন টেন এলিয়েন এক্স এর সেলেস্টিয়ালস এর সাথে আবার মেলাবেন না৷ দুইটাই আলাদা আলাদা ক্যাটেগরিতে পরে।

বিস্তারিত এলিয়েন এক্স অরিজিন এ পড়ে নিন।

ডেভিয়েন্ট কারা?

ডেভিয়েন্ট সেলেস্টিয়ালদের সৃষ্টি করা আরেক রেস বা জাতি । যারা দেখতে বেশ অদ্ভুত এবং শারীরিক গাঠনিক দিক থেকে ইটার্নালদের মত একেবারেই আকর্ষণীয় নয় । সোজা বাংলায়, কদাকার। তবে ডেভিয়েন্টসদের সৃষ্টি করা হয়েছিল ইটার্নালদের অনেক আগে।

সেলেস্টিয়াল যার নাম ‘জিরান দ্য টেস্টার’ ভুলবশত এলিয়েন গোষ্ঠী ‘হোমো ইরেকটাস’ ট্রাইব এর উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে ডেভিয়েন্ট তৈরি করে ফেলে। এরপর আরেক সেলেস্টিয়াল ‘নেজার দ্য ক্যালকুলেটর’ সৃষ্টি করে আমাদের এই ইটার্নালদের।

ইটারনালসদের সাথে থ্যানোস কীভাবে কানেক্টেড?

জুরাস ও অ্যালার্স – এই দুই ভাই ইটার্নাল জাতির ফার্স্ট জেনারেশন লিডারদের মধ্যে অন্যতম।

জুরাস এর মেয়ে থেনা (থেনা চরিত্রটিতে অভিনয় করেছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইন ইটার্নালস) আর অ্যালার্সের ছেলে হলো থ্যানোস।

সোজাসুজি বললে বলা যায় যে, থেনা আর থ্যানোস হলো কাকাতো ভাই বোন বা কাজিন। শুরু থেকেই ইটার্নাল জাতি গাঠনিক দিক থেকে আদর্শ ও সৌন্দর্যের প্রতীক এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে অহংকারবোধও বিদ্যমান।

কিন্তু ম্যাড টাইটান থ্যানোসের মধ্যে ছিল ডেভিয়েন্টস সিন্ড্রোম। থানসের বড় ভাই এরোস ইউনিভার্সের অন্যতম হ্যান্ডসাম বিইং হলেও থ্যানোস ইটার্নাল ও ডেভিয়েন্ট জিনের সংমিশ্রণে মিলিত এক অদ্ভূত প্রাণী হিসেবে কদাকার হয়ে জন্ম নেয় । যেটা তার রেসের বা গোষ্ঠীর কেউ ভালোভাবে মেনে নেয় নি।

তবে এই জেনেটিক ডিফারেন্স থ্যানোসকে তার জাতি ইটার্নাল আর তাদের কাউন্টারপার্ট ডেভিয়েন্টদের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী করে তোলে।

এভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়্যার ও আভেঞ্জার্স এন্ডগেমে, আমরা থ্যানোসকে শুধু মাত্র শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে পাই।

তবে কমিকের বেসিক লেভেলের থ্যানোস ও সিনেমার থ্যানোসের চেয়ে অনেক গুন বেশি শক্তিশালী আর ক্ষমতাধর।

ইন্টার্নালরা ইনফিনিটি ওয়্যারে থ্যানোসের বিপক্ষে লড়লো না কেন?

ইটার্নালদের ইন্সট্রাকশন দেয়া ছিল যে, শুধুমাত্র ‘ডেভিয়েন্ট’ রিলেটেড কোনো সমস্যা হলেই যেন তারা হস্তক্ষেপ করে। অন্যদিকে থ্যানোসের মধ্যে ‘ডেভিয়েন্ট সিন্ড্রোম’ থাকলেও সে কিন্তু পুরোপুরি ভাবে ডেভিয়েন্ট নয়। হি ইজ মোর অফ অ্যান ইটার্নাল হিমসেল্ফ। এ কারনেই থানসের বিরুদ্ধে তার জাতির কাওকে লড়তে দেখা যায় নি।

ইন্টার্নালদের এই লড়াই না করার ইন্সট্রাকশন কে দিয়েছিলো?

সেলেস্টিয়ালদের লিডার ‘এরিশেম দ্য জাজ’ – ইটারনালসদের কে এই নির্দেশনা সেই দিয়েছিল। ট্রেইলারে আমরা লাল রঙের যে সেলেস্টিয়ালকে দেখতে পাই, সেই হল ‘এরিশেম দ্য জাজ’। তার কাজ হলো বিভিন্ন গ্যালাক্সি আর প্ল্যানেটের ভাগ্য নির্ধারণ করা। কোন প্ল্যানেট ধ্বংস য়ে যাবে আর কোনটি এগিয়ে যাবে, তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই সেলেস্টিয়াল।

গার্ডিয়ান্স অফ দ্য গ্যালাক্সিতে কি তাকে দেখা গেছিল সৌল স্টোন সহ?

সহজ উত্তর না। গার্ডিয়ান্স অব দ্য গ্যালাক্সিতে কালেক্টর যাকে দেখায় সে একজন ভিন্ন সেলেস্টিয়াল। ওই সেলেস্টিয়ালের নাম ‘ইসন দ্য সার্চার’। এই সেলেস্টিয়াল প্রচণ্ড রুথলেস আর ডেস্ট্রাকটিভ। গার্ডিয়ান্স অফ দ্য গ্যালাক্সির ভিডিও চিত্রে তাকে দেখা যায়, সে কোনো সংকোচ ছাড়াই প্রানে পরিপূর্ণ একটি প্ল্যানেট কে ধ্বংস করে ফেলছে ।

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সে কি আরো সেলেস্টিয়ালস আছে?

এমসিইউ তে এর আগে আমরা আরো সেলেস্টিয়ালের দেখা পেয়েছি। যার মধ্যে একজন হল স্টার লর্ড বা পিটার কুইলের বাবা ‘ইগো দ্য প্ল্যানেট’। সে যে ভালো লোক নয় তার প্রমাণ আমরা আগেই পেয়ে গেছি৷ শুধু তাই নয় কালেক্টরের বাসস্থান ‘নোহোয়্যার’ ও মূলত এক সেলেস্টিয়ালের কাটা মাথা। যেটা আমরা গার্ডিয়ান অফ দ্যা গ্যালাক্সি ভলিউম ১ এ দেখেছি ।

এর মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে যে, কোনো এক সময়ে সেলেস্টিয়ালদের মাঝে একটা ভয়াবহ মহাবিশ্ব যুদ্ধ হয়েছিলো । যার ফলে এ রকম একজন সেলেস্টিয়ালের কাটা মাথা ইউনিভার্সে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ইটার্নালস ট্রেইলারে সবুজ রঙের আরেকজন সেলেস্টিয়ালকে দেখা যায় । যে নিজের হাত থেকে কসমিক এনার্জি ব্যাবহার করে নতুন গ্যালাক্সি তৈরি করছে। এই সেলেস্টিয়ালসের নাম ‘জেমিয়াহ দ্য অ্যানালাইজার’।

সেলেস্টিয়ালদের সাইন্টিস্ট, বিজ্ঞানী, ব্রিডার বা ইঞ্জিনিয়ার বলা হয় তাকে। সবচেয়ে বুদ্ধিমান সেলেস্টিয়ালদের মধ্যে একজন। এছাড়াও এদের পাশাপাশি আরো আছে ‘হার্গেন দ্য মেজারার’, ‘তেফ্রাল দ্য সার্ভেয়ার’, ‘গ্যামেনন দ্য গ্যাদারার’, ‘ওনেগ দ্য প্রোবার’ সহ আরো অনেক সেলেস্টিয়াল আছে।

ইটারনালস মুভি ট্রেলার রিভিউ

এটার্নালস হলো মার্ভেল কমিক্স ভিত্তিক সুপারহিরো জনরার একটি চলচ্চিত্র। মার্ভেল স্টুডিও দ্বারা প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি এমসিইউঃ মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স – এর ২৬তম সিনেমা হিসেবে মুক্ত হতে চলেছে৷ বরাবরের মতোই ড্রিস্টিবিউশনের দায়িত্বে আছে, ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওজ মোশন পিকচার্স ওরফে ডিজনি কোম্পানি ।

প্রযোজনায় আছে অস্কার জয়ী ডিরেক্টর ক্লো ঝাও৷ ২০০ মিলিয়ন ডলারের এই সিনেমাটি আগামী ৫ই নভেম্বর ২০২১ এ পুরো বিশ্বে একযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ।

Eternals Movie Trailer Review in Bangla

২০২১ সালে মে মাসে প্রথম বারের মতো ইটারনালস এর প্রোমোশনাল ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ট্রেলারে মার্ভেল স্টুডিও এর ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সকল ছবিগুলোর ঘোষণা দেয়৷ যেখানে শাং চি ও লিজেন্ডস অফ টেন রিংস এর পাশাপাশি আরো ছিলঃ অ্যান্ট-ম্যান অ্যান্ড দ্য ওয়াস্প: কোয়ান্টাম্যানিয়া, ব্ল্যাক উইডো, গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম থ্রি,

দ্য মার্ভেলস ও থর: থান্ডার অ্যান্ড লাভ । সেই সাথে ফ্যান্টাস্টিক ফোর এর এনাউন্সমেন্ট ও করা হয়৷ সেই সাথে এসেছে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমার সিক্যুয়েলের আনুষ্ঠানিক নাম, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার’। আগামী ২০২২ এর জুলাইয়ের আসতে চলা এই ছবিতে, থাকছে না চাডউইক বোজম্যানের চরিত্রটি । যা অনেক আগেই জানানো হয়েছে।

তবে ওই প্রোমোশন ভিডিও মুক্তির কয়েক দিন পরে ইটারনালস এর অফিশিয়াল টিজার প্রকাশিত হয় ২৪শে মে ২০২১ এ । সেখানে প্রথম বারের মতো পুরো এটার্নালস বাহিনীর দেখা মেলে।

Eternals এর ফাইনাল ট্রেইলার ২০২১ এর আগস্টে প্রকাশ করা হয়। যেখানে ইটারনালস এর বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। শুধু তাই নয়। অনেক অ্যাকশন সিন ও দেখতে পাওয়া যায়। যার মধ্যে ইকারিস এর চোখ দিয়ে লেজার বিম বের করতে দেখা যায় । অনেকটা য্যাক স্নাইডারের জাস্টিস লিগের সুপারম্যান এর মতো৷

ইটার্নাল সিনেমায় Eternals সদস্যদের পরিচয়

অ্যাজাক (সালমা হায়েক)

অ্যাজাক ইটার্নাল সদস্যদের লিডার। কমিকে চরিত্রটি পুরুষের ক্যারেক্টার হলেও সিনেমাটিতে তাকে মহিলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তার বিশেষ অ্যাবিলিটি হচ্ছে হিলিং করার ক্ষমতা । শুধুমাত্র সেই সরাসরি সেলেস্টিয়ালদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাই বলাই যায় সিনেমাটিতে সম্ভবত এজাক সব ইটার্নালস চরিত্রের মাদার ফিগার হিসেবে দেখানো হবে।

ইকারিস (রিচার্ড ম্যাডেন)

ল্যানিস্টার সৈন্যবাহিনীর কাছে মারা খাওয়ার পর আমাদের বাল পাকনা রব স্টার্ক, এবার চুপ করেই ইকারিস হয়ে গেছে। ইকারিস খুব পাওয়ারফুল। সে উড়তে পারে, চোখ দিয়ে কসমিক অ্যানার্জির বিম ছুঁড়তে পারে৷ যেটা কমিক বুকের দুনিয়ায় অনেক ‘কুলল’ একটা ফিচার। তবে সে একজন খুবই ইগোম্যানিয়াক আর বদরাগী। অন্যান্য ইটার্নালদের পৃথিবীর প্রতি আলাদা টান থাকলেও ইকারিসের কাছে পুরো ব্যাপারটিই বোরিং।

Read Also: শাযাম মুভি রিভিউ ও বক্স অফিস কালেকশন ^

সার্সি (গেমা চ্যান)

ডিরেক্টর ক্লোই জাও এর মতে সার্সি হল এই সিনেমার অন্যতম লিড ক্যারেক্টার। পৃথিবীর সাথে তার সম্পর্ক অত্যন্ত স্নেহপূর্ণ এবং মায়াবী । সে এই ফিল্মে একই সাথে হিরোইজম আর গ্রাউন্ডেড বিং এর উদাহরণ হিসেবে থাকবে। সার্সির স্পেশালিটি হল ম্যাটার ম্যানিউপুলেশন।

অনেকদিন ইকারিসের সাথে রিলেশনশিপ ও ছিল । যদিও ফিল্মে তাকে জাদুঘরে কাজ করতে দেখা যাবে । সেখান থেকেই কিট হ্যারিংটনের সাথে দেখা হয়। ডেন হুইটম্যান বা ব্ল্যাক নাইটকে ডেট করতে দেখা যাবে তাকে৷ এই কিট হ্যারিংটন হ ডেন হুইটম্যান।

কিঙ্গো (কুমাল নাঞ্জিয়ানি)

কিঙ্গো নিজের হাত থেকে কসমিক অ্যানার্জি ব্লাস্ট করতে পারে (যেটা আপনারা ট্রেইলারে দেখতে পারবেন)। পৃথিবীতে সে একজন জনপ্রিয় বলিউড সুপার স্টার। তার হাত ধরেই অল্প বিস্তর ভারতীয় কালচার এই সিনেমার অংশ হয়ে উঠবে৷

স্প্রাইট (লিয়া ম্যাকহিউ)

স্কারলেট উইচ কিংবা ডক্টর স্ট্রেঞ্জের মইত এমসিইউ এর আরেকজন ইল্যুশনিস্ট হতে চলেছে সে৷ শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে সে বারো বছর বয়সী বাচ্চার মত হলেও, আসলে সে অনেক বয়স্ক একজন ইটার্নাল। মানে সে এক বাচ্চার শরীরে আটকা পড়ে গেছে ।

মাক্কারি (লরেন রিডল্ফ)

এভেঞ্জার্সদের যেমন কুইকসিলভার স্পিডস্টার আছে তেমনি ইটার্নালদের স্পিডস্টার সে। শুধু তাই নয়, একিউ সাথে সে এমসিইউ এর প্রথম বধির চরিত্র। মাক্কারি কানে শুনতে পায় না৷

ড্রুইগ (ব্যারি কিওগান)

অন্যের মন নিয়ন্ত্রণ করতে কে না ভালোবাসে৷ ড্রুইগ একজন মাইন্ড কন্ট্রোলার। আরেক জনের মাইন্ড কন্ট্রোল করার স্পেশাল অ্যাবিলিটি আছে তার।

গিলগামেশ (ডন লি)

দ্বিতীয় কোরিয়ান অভিনেতা যিনি মার্ভেলের সিনেমায় রয়েছে । ইটার্নালদের মধ্যে শারীরিকভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হলো গিলগামেশ। বলা যায় ইটার্নালদের নিজস্ব হাল্ক সে। ফাইটিং স্টাইল অনেকটা বক্সারদের মত। আরেক ইটার্নাল সদস্য থেনার সাথে তার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বেস্টফ্রেন্ড ❤️

থেনা (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি)

ইটার্নালদের মধ্যে সবচেয়ে স্কিলফুল ওয়ারিয়র সে৷ নিজের জাতির সবচেয়ে সুন্দর নারীদের মধ্যে একজন হল থেনা। থ্যানোসের সাথে সরাসরি ব্লাড কানেকশন থাকা, এই চরিত্র অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী।

কসমিক অ্যানার্জি ইউজ করে যেকোনো ধরনের ওয়েপন তৈরী করতে পারে৷ মার্ভেলের অতিমানবের দলে জোলি । যে কারনে থেনা ডেভিয়েন্টদের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে ইটার্নালদের বড় একটা ভরসাস্থল।

ফাস্টোস (ব্রায়ান তাইরি হেনরি)

সোজা কথায় ইটার্নালদের ইঞ্জিনিয়ার। কসমিক এনার্জির মাধ্যমে সে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং টেকনোলজি উদ্ভাবন করে। এমসিইউ এর প্রথম ওপেন হোমোসেক্সুয়াল ক্যারেক্টার সে৷ এই নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে মার্ভেল স্টুডিও ।

এখানে কিট হ্যারিংটন কী করছে?

ট্রেইলার দেখে যা বোঝা যাচ্ছে, তা হল সে গেম অব থ্রোন্স শেষ করে ইটার্নালসে চলে আসছে । কিন্তু এখনো হি নোজ নাথিং। তবে হ্যা সে ধীরে ধীরে জেনে যাবে। মূলত তার চরিত্রটি হচ্ছে ডেন হুইটম্যান ।

যে কিনা একজন নরমাল হিউম্যান। কিন্তু সার্সির মাধ্যমে তার অ্যাবিলিটির বেশ উন্নতি হয়। তার নিজস্ব সুপারহিরো ফর্ম হচ্ছে ‘ব্ল্যাক নাইট’ । সে একজন হাই প্রোফাইল সোর্ড ওয়ারিয়র । যে পরবর্তীতে আভেঞ্জার্স টিমে যোগদান করে (এখানেও তাই হতে পারে)।

তাছাড়া ফিজিক্সে মাস্টার্স করা হুইটম্যান সাধারণ ব্যক্তি হিসেবেও যথেষ্ট বুদ্ধিমান । মেইন স্টোরি ইটার্নালদের নিয়ে হওয়ায়, সে সাপোর্টিং রোল প্লে করছে৷ তবে লিড ক্যারেক্টার সার্সির বর্তমান বয়ফ্রেন্ড হিসেবে তার কিছু না কিছু সিরিয়াস জব থাকার কথা।

ইটারনালস সিনেমার ভিলেন কে?

সরাসরি চিন্তা করলে বলা যা যে, এটার্নালস দের ভিলেন হবে ‘ক্রো’। ট্রেইলারে ইতোমধ্যেই তাকে দেখা গেছে, থেনার সাথে রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করতে৷ কিন্তু ভিলেন হিসেবে তার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হয়ত বাপ্পারাজ এর রোল প্লে করাই মতই হবে।

কমিক অনুযায়ী ক্রো একজন ওয়ার লর্ড আর ডিক্টেটর। সে ডেভিয়েন্ট সেনা বাহিনীর লিডার, তাই সে নিজেও একজন হাই প্রোফাইল ডেভিয়েন্ট। শেইপশিফটিং বা রুপ পালটানোর ক্ষমতা থাকায় সে, যে কোনো রকম রূপ ধারণ করতে পারে।

এজন্য অরিজিনালি তার কালার লাল হলেও ট্রেইলারে আমরা, তাকে চার চোখওয়ালা গাঢ় সবুজ মাগুর মাছের মত দেখি। শুধু তাই নয় থেনা আর ক্রো এর মাঝে অনেক দিনের (কমিক অনুযায়ী ১ লক্ষ বছর এরও বেশি) অন-অফ সম্পর্ক আছে । তবে এই রিলেশনশিপ এর ব্যাপারে ইটার্নাল আর ডেভিয়েন্ট দুই রেসের কাছেই গোপন রেখেছে তারা৷ অন্যদিকে ক্রো আর থেনার দুইজন সন্তানও আছে। তবে ফিল্মে এত কিছু দেখানো হবে না বলে মনে হয় ।

তাহলে এটার্নালস কখন এমসিইউ এর টাইমলাইনে ফিট করে?

ট্রেলারে অ্যাজাক এর দেওয়া ভাষ্যমতে ইনফিনিটি ওয়্যার এ আভেঞ্জার্সরা থানসের সাথে হেরে যাওয়ার পরে । তবে পাচ বছর পরে ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ ইভেন্টে যখন এভেঞ্জার্সরা পৃথিবীর মানুষদের আবার ফেরত আনে। তখন অত্যাধিক পরিমাণের বেশি এনার্জি নির্গত হয়। যার ফলে ইমারজেন্স শুরু হয় (ডেভিয়েন্টস এর আগমন) ।

এর থেকে বোঝা যায় যে ইটারনালস মুভি এর ইভেন্ট এভেঞ্জার্সঃ এন্ডগেম এর পর পরই।

কিসের জন্য এটার্নালস মুভি সমালোচনার সম্মুখীন?

মার্ভেল স্টুডিও ডাইভার্সিটির নামে তাদের সিনেমাগুলিতে সমকামীতা ছড়াচ্ছে এই ইটারনালস সিনেমাটিতে । যেখান দুই গে কাপল দেখা যাবে ও তাদের কে কিস করতে দেখা যাবে । যা সত্যিই ঘৃণ্য একটি বিষয়।

কিন্তু তার চেয়েও বেশি জঘন্য ব্যাপার হচ্ছে যে এমসিইউ এর সকল মুভিই পিজি-১৩৷ যেখানে বেশিরভাগ অডিয়েন্স শিশু-কিশোর । এই LGBTQ+ দৃশ্য গুলি দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে সমকামীতা নরমাল করার চেষ্টা করছে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়৷

বাংলাদেশে ইটারনালস মুক্তি পাবে কবে?

বাংলাদেশে আইনগত ভাবে সমকামীতা নিষিদ্ধ । যে কারনে ইটারনালস বাংলাদেশে মুক্তি পেতে সপ্তাহ খানেক দেরি হবে৷

বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে ইটারনালস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়াতে এই মুভিকে R-Rated করা হয়েছে৷ তবে মজার বিষয় হলো চীনে ইটারনালস পুরোপুরি ভাবে ব্যান করা হয়েছে । মার্ভেল স্টুডিও এবং ডিজনি কোম্পানি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে সমকামীদের চুম্বনদৃশ্য কাটবে না মার্ভেল৷ যা সত্যিই হতাশাজনক।

ইটারনালস মুভি রিভিউ

এটার্নালস সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরে সিনেমাটি নিয়ে আমি পুনরায় বিস্তারিত লিখব৷

DMCA Notice:- All OUR Posts Image are Free and Available On INTERNET Posted By Its Rightful Owner or Somebody Else. I’m Not VIOLATING Any COPYRIGHT LAW by Sharing a Movie or Tv Show/Web Series Trailer ScreenShot or Scenes. It's simply Fair Usage of Work. While Writing Movie/Series Breakdown Review.
I am Simply Promoting and Marketing Those Copyrighted Owner Property. But If You think something on this post is VIOLATING the Copyright LAW, Please Notify US via This CONTACT us FORM. So That It Can Be Removed from our Website.

Disclosure: This post May contain affiliate links that support our Blog. When you purchase something after clicking an affiliate link, we may receive a commission. Also Note That We Are Not Responsible For Any Third-party Websites Link Contents. For more Read Our Terms and Conditions Thank You.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Total Views: 141

Scroll to Top