খুব সুন্দর একটা হরর সিরিজ। মিসরের সিরিজগুলো ভালো লাগার একটা কারন সেটা হচ্ছে তাদের গল্পগুলো ভালো থাকে, একটু ভিন্নতা থাকে। আরবের কালচারে ড্রামা ও হররের ক্যামিস্ট্রি বেশ ভালই ছিলো।
الزيارة
Country : Egypt
Season 01 Episode 08
some spoilers
আট পর্বের এই সিরিজে কালো যাদু ও খারাপ জ্বীনের অস্তীত্ব দেখানো হয়েছে। খারাপ জ্বীন আসলে মাটির আদমজাতিকে সহ্যই করতে পারে না। এদের সিরিজে ড্রামার উপস্থাপন একটু বেশি থাকে, তবে খুব বেশি বোরিং হতে হবে না।
আসলে সব কালচারের সাথে পরিচয় হতে আমার বেশ ভালই লাগে। আরব সিরিজের মধ্যে মিশরের সিরিজ বেস্ট। তবে লেবাবনন ও জর্ডানেও ভালো সিরিজ হয়। পরে দেখে আপনাদের জন্য রিভিউ দিবো।।
মিস আনসাফ গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য মিসর থেকে লেবাননের বৈরুতে চলে আসে। একটা খৃষ্টান পরিবারে কাজের সুযোগ হয় যদিও আনসাফ মুসলিম। মিস আনসাফের চোখে মুখে একটা ভয় আতংকের ছাপ পাওয়া যায়।
মিস আন্সাফ কি যেনো ভাবছে, ভেবেই যাচ্ছে। পরিবারের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য ইব্রাহিমের খালাকে দেখে সুবিধার মনে হচ্ছে না আর গৃহকর্মী আনসাফকে কেনো যেনো পছন্দ করেছে না। অনেক ঘটনার মধ্যে দুই একটা ঘটনা বলে নেই,
* ইব্রাহিমের বিয়ের দিন চার্জে সবাই আনন্দ করছিলো। আরব খৃষ্টানদের বিয়ের কালচারটা ভালই লাগলো। হটাত করেই ইব্রাহিমের মুখ থেকে আগুন বের হতে লাগলো আর পুরো শরীর পুড়ে গেলো, কয়লা হয়ে গেলো।
আগুন লাগার কারন পুলিশ, পোস্টমডেম কেউ কিছু বলতে পারছে না। তার মা বলছিলো শয়তানের আগুন। আসলেই কি তাই?? হতে পারে খারাপ কোন জ্বীন।।
* মিস আনসাফ নামাজ পড়ছিলো। যতবার তাকবীর দেয় ততবার ইব্রাহিমের খালা ঘুমের মধ্যে কি যেনো দেখতে পায়। ইব্রাহিমের খালার বিছানার জাজিম থেকে আগুনের কালো ধোয়া বের হতে লাগলো। ইব্রাহিমের খালার মুখ থেকেও কালো কি যেনো বের হয়ে যাচ্ছিলো, অবাক করার বিষয় তার কালো চুল সাদা কালো হয়ে গেলো। বয়স যেনো বেড়ে গেলো।।
লেবাননের কিছু খৃষ্টান সংস্কৃতি দেখানো হয়েছে। মৃত কেউ মারা গেলে তার স্ত্রীকেও কোলে করে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কালো যাদু আর সেই খারাপ জ্বীন দাসেম এর সাথে একা লড়াই করাটা বেশ চ্যালাঞ্জিং। জাহান্নামী শয়তান দাসেমর শক্তির সাথে লড়াই চলছে।
তবে যাই হোক শয়তানী শক্তি বেশি দিন টিকে না। এক একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে বাড়ীর ছোট মেয়ে সখ করে হরর ছবি আকে। সেই ছবি আকার কয়েকদিন পরেই সেটা সত্যি হতে থাকে। আরব কালচারে হরর সিরিজ আমেরিকানদের থেকে অনেকটাই আলাদা। সিরিজে সাউণ্ড সিস্টেম ভালো ছিলো।
অতিথী হয়ে কেউ আসছে হয়ত এসেছেও। হয়ত কারো শরীরে ঢুকে আছে, বাসায় চিপায়া চাপায় কোথাও হয়ত আছে। চলে যেতে চাইছে না। মিস আনসাফ অনেকটাই ভয়ের মধ্যে থাকে। তবে সবসময় সে তার লম্বা তাবিজিটা স্বযত্নে রেখে দেয়।
সেই বাড়ীতে একের পর এক ভয়ংকর বিপদ আসতেই থাকে। হরর সিন্স তো দূরের কথা এক একটা ভয়ংকর মৃত্যু দেখেই ভয় চলে আসছে। মৃত্যুগুলো স্বাভাবিক বলা যায় না, মায়াবী মৃত্যু। একটা কথা বলে রাখি, সিরিজটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। তাই অতিরঞ্জিত করে কিছু দেখানো হয় নাই।
সত্যিকারে ঘটনা যারা দেখেছে ও স্মমুখীন হয়েছে তাদের সাক্ষাতকারও দেখানো হয়েছে শেষ এপিসোডে।