ব্লু বিটলের বাংলা অরিজিন Blue Beetle Bangla Origin

BLUE BETTLE ফিল্মের প্রথম উইকেন্ড বক্স অফিস রিপোর্ট

  • ডমেস্টিক গ্রোস – $25.4 Million
  • ওভারসিস গ্রোস – $18 Million
  • ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রোস – $43.4 Million
  • বাজেট – $120 Million

Shazam 2-এর থেকেও কম ওপেনিং তুলেছে। বক্স অফিসে হিট হতে বিশ্বব্যাপী $400 Million এর কাছাকাছি গ্রোস তুলতে হবে।

ফ্লপ হবে নিশ্চিত। ডিজাস্টার হওয়া থেকে বাঁচে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

ডিসির আপকামিং সিনেমা
 
Blue Beetle এর অফিশিয়াল সেট ফটো রিলিজের পর থেকেই দেখছি গণহারে তাকে আইরনম্যান/ অ্যান্টম্যান ইত্যাদি চরিত্রের সাথে তুলনা করা শুরু হয়ে গেছে। তাই এই চরিত্রটি নিয়ে কয়েকটি তথ্য দিতে ইচ্ছা করল। 
 
🐞 ব্লু বিটল চরিত্রটির শক্তি/সুপারপাওয়ারের মূলে রয়েছে ব্লু বিটল স্ক্যারাব। এটি মূলত একটি এলিয়েন সুপারকম্পিউটার যার মাঝে মহাজগতের অসংখ্য তথ্য কোডেড করা আছে। বিটল বা গুবরেপোকার মতো আকৃতির এই সুপারকম্পিউটারটি একটি প্যারাসাইটের মতো। 
 
Blue Beetle Bangla Origin
(image credit: DC)
 
অর্থাৎ এটি কাজ করার জন্য একটি হোস্টের প্রয়োজন হয়, সেটি হতে পারে মানুষ, কিংবা বানর, মাছ, অন্যান্য পশুপাখি, এমনকি মারশিয়ান বা অন্য এলিয়েন বডি। স্ক্যারাবটি হোস্ট বডিকে/ নিজেকে প্রোটেক্ট করার জন্য এতে রয়েছে ন্যানো টেকনলোজিসম্পন্ন অসংখ্য ওয়েপনারি এবং গ্যাজেটস।
 
🐞 ব্লু বিটল স্ক্যারাবের মত পুরো ইউনিভার্সে রয়েছে আরো অসংখ্য কালারের স্ক্যারাব যা ইউনিভার্সের প্রতিটি সোলার সিস্টেমে একটি করে পাঠানো হয়। এর ক্রিয়েটরদের উদ্দেশ্য ছিল এইটি দিয়ে হোস্ট বডিকে জিম্মি রেখে তাকে দিয়ে যা ইচ্ছা তা কাজ করিয়ে নেয়া, এবং যেহুতু এইটি প্রায় ইনভালনারেবল। 
 
ইনডিস্ট্রাকটেবল তাই একদিক থেকে এটি নিজে থেকে খুলে ফেলা/জোরপূর্বক ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। তাই এভাবে প্রতিটি প্ল্যানেটে নিজেদের মিনিয়ন বানিয়ে পুরো ইউনিভার্স আধিপত্যের স্বপ্ন দেখে ক্রিয়েটররা।
 
 
🐞 কিন্তু সৌভাগ্যবশত পৃথিবীতে পাঠানো স্ক্যারাবটিতে একটি ম্যালওয়ার থাকার কারণে এটি ঠিকমতো এর হোস্টের মাইন্ড কন্ট্রোল নিয়ে নিতে পারে না, উপরন্তু সে হোস্টের সাথে সহাবস্থানে থাকে এবং তাকে বিভিন্ন ভালো কাজে সহায়তা/উদ্বুদ্ধ করতে থাকে। 
 
 
🐞 পৃথিবীর স্ক্যারাবটি প্রথম খুঁজে পায় আর্কিওলজিস্ট ড্যান গ্যারেট, যাকে গোল্ডেন এজের ব্লু বিটল বলা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে এটি তাকে শক্তিশালী ফাইটার বানিয়ে তোলে এবং সে হ্যান্ড টু হ্যান্ড কম্ব্যাটে পারদর্শী হয়ে উঠে। সাথে সে এনার্জী প্রোজেকশন এবং উড়ার ক্ষমতাও লাভ করে।
 
 
🐞 ব্লু বিটলের পরবর্তী ক্যান্ডিডেট ছিল টেড কর্ড যে কিনা ডিসি ইউনিভার্সে কর্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা। মূলত সে ড্যান গ্যারেটের অধীনস্থ একজন প্রতিভাধর ছাত্র ছিল। একটি বিশেষ অনুসন্ধানের সে গ্যারেটের সঙ্গ দেয় এবং সেই মিশনে গ্যারেট মারা যায়, তাই পাশে থাকা কর্ড হয় এটার নতুন হোস্ট। 
 
টেড তার বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যাথলেটিক গুণের সমন্বয়ে ব্লু বীটলের শ্রেষ্ঠ ইউজ করে। পাশাপাশি সে নিজের ইন্ডাস্ট্রিতে স্ক্যারাব নিয়ে রিসার্চও করতে থাকে। এমতাবস্থায় সে একদিন রিসার্চ এক্সপ্লোশনে মারা গেলে (in alternate reality : He was killed by the gunshot of Maxwell Lord from point blank range) সেটি এসে পড়ে অনাথ কিশোর হাইমে রেয়েসের কাছে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হোস্ট হিসেবে বন্ড করে নেয় স্ক্যারাবটি। 
 
 
 
🐞 তৃতীয় ব্লু বিটল হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে হাইমে রেয়েস। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তার সাথে স্ক্যারাবের বোঝাপোড়া/কেমিস্ট্রি অত্যন্ত ভালো ছিল। সে প্রয়োজন ছাড়া স্ক্যারাব ইউজের বিন্দুমাত্র পক্ষপাতি নয় । 
 
এমনকি বারংবার চেষ্টা করে এটি খুলে ফেলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে। কিন্তু তাই কি আর হয়….. পরবর্তীতে সে টাইটানস/জাস্টিস লীগে জয়েন করে এবং নিজের ধীরে ধীরে নিজের নতুন জীবনের সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
 
 
🐞 ব্লু বিটলের অনেক সুপারহিউম্যান পাওয়ার রয়েছে যেমন :
 
 > Armored Suit (Provided by the scarab)
 > Flight
 > Skilled Hand to Hand Combatant
 > Enhanced strength and durability
 > Embedded Retractable Melee Weapon in the suit
 > Lases Cannons, Energy Projection 
 > Soundwave Manipulation, Soundwave blast, Energy Blast/Beams
 > Energy pulse Shielding
 > Translation of any languages in the universe
 > Updating Technologies
 > Pyrokinesis and Mechakinesis
 
এছাড়াও প্রয়োজন অনুসারে আরো কিছু অ্যাবিলিটি অ্যাডাপ্ট করতে সক্ষম হাইমে।
 
🐞 ফান ফ্যাক্ট : ব্লু বিটলের কমিক ডেব্যু হয় ১৯৩৯ সালে এবং পাবলিকেশন্সের আন্ডারে আসে ১৯৪০ সালে, যেখানে আইরনম্যানের কমিক ডেব্যু ১৯৬৩ সালে, অ্যান্টম্যানের ১৯৬২ তে। যদিও এসব ক্যারেক্টারের তুলনা দেয়া একপ্রকার অযোক্তিক/অপ্রাসংগিক, তবুও যদি তুলনা দিতেই হয় তবে নিজেরাই ভেবে দেখুন কাকে কার কপিক্যাট বলবেন….
 
 
পরিশেষে বলতে চাই, একজন ডিসি ফ্যান হিসেবে বুস্টার গোল্ড, ব্লু বিটল, ক্যাপ্টেন অ্যাটমের মতো চরিত্রগুলোকে বড় পর্দায় দেখার আক্ষেপ শুধুমাত্র ডিসি ফ্যানরাই জানে। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর জন্য হাইমের একটা লাইভ অ্যাকশন সেট ফটো স্বর্ণের চেয়েও দামী।
 
 আশা করি ওয়ার্নার ব্রাদার্স বাকি সব গার্বেজ মুভিগুলার মতো এই মুভিটাকে নষ্ট করে আমাদের এই উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে দেবে না…..
 
ক্রেডিটঃ ফারহান তানভীর উৎস ভাইয়া।

DMCA Notice:- All OUR Posts Image are Free and Available On INTERNET Posted By Its Rightful Owner or Somebody Else. I’m Not VIOLATING Any COPYRIGHT LAW by Sharing a Movie or Tv Show/Web Series Trailer ScreenShot or Scenes. It's simply Fair Usage of Work. While Writing Movie/Series Breakdown Review.
I am Simply Promoting and Marketing Those Copyrighted Owner Property. But If You think something on this post is VIOLATING the Copyright LAW, Please Notify US via This CONTACT us FORM. So That It Can Be Removed from our Website.

Disclosure: This post May contain affiliate links that support our Blog. When you purchase something after clicking an affiliate link, we may receive a commission. Also Note That We Are Not Responsible For Any Third-party Websites Link Contents. For more Read Our Terms and Conditions Thank You.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Total Views: 203

Scroll to Top